ছোট গল্প। বুইড্যা প্রেম। নূর ইসলাম।
ছোট গল্প। বুইড্যা প্রেম। নূর ইসলাম।
বুইড্যা প্রেম।
নূর ইসলাম।
,,,,,,,নাজমা, রুনা ও শিরিন তিন বন্ধু। শিরিনের বিয়ে হয়েছে। দুই বছর হল নাজমার বাড়ীতে একটা ছেলে এসেছে। দেখতে খুব সুন্দর। চেহারা, কথা, চলার ধরন, এক কথায় যে কোন মেয়ে দেখলে ক্রাশ খাবে। ছেলেটার নাম ফাহাদ। নাজমার বাড়ীতে থাকায় নাজমা ভালবাসাকে ভাললাগা চোঁখ দিয়ে তৃপ্তি নিতে পারে। নাজমার বাড়ীতে যাওয়া আসার সুবাদে রুনা ফাহাদের প্রেমে পড়ে যায়। রুনা ঘন ঘন যাওয়াতে মাঝে মাঝে নাজমা বাধা দেয়। তারপরেও নানান বাধা উপেক্ষা করে নাজমাদের বাড়ীতে যায় ফাহাদকে দেখার জন্য। ভালবাসা বলে কথা। আগে ত জানতাম একটা মেয়ের জন্য হাজার ছেলে পাগল কিন্তু এখন দেখছি একটা ছেলের জন্য হাজার মেয়ে পাগল। নাজমা এবং শিরিনের বাসা পাশাপাশি। রুনা অপমানিত হয়ে শিরিনের বাড়ীতে প্রবেশ করে উঠানের মাঝে দাঁড়িয়ে নাজমার বাড়ীর দিকে তাকিয়ে বলল, " ইয়া আল্লাহ্ , মন দিছো, মনের মানুষ দাওনা ক্যান?" ছোট গল্প। বুইড্যা প্রেম। নূর ইসলাম।
এসময়ে শিরিন বারান্দায় বসে চুল আচ্রাচ্ছিল। রুনার কথা শুনে বলল, "আমি কি করবো? কই খুঁজবো সেই মানুষটারে?"
রুনা:- এখানেই আছে রে, নাজমার জন্য নিয়ে পালাতে পারিনা।
নাজমা:-অই রুনা, তুই আমার বয়ফ্রেন্ডের দিকে নজর দিবিনা। হে শুধুই আমার। বুঝলি ময়না পাখি।(শুনতে পেয়ে বলে)
শিরিন:- কিউটের ড্রাম রে।
রুনা:- ওর জন্য তরে খুন করমু, মনে রাখিস।
নাজমা:- সে সুজুগ দিমুনারে ময়না।
রুনা:- তরে কচু গাছে লটকামু।
রুনা:- আর শিরিন, তুমিও নজর দিল্যা? আল্লাহ্ রে, কেউ আমারে একটা দড়ি আর একটা কচু গাছ দেহাই দে।
শিরিন:- নারে, বেলাল থাকতে আর কার দিকে তাকাবো? মাইরা ফেলবে।
নাজমা:- তোমরা শুধু দেখবা আর আমি বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভাইঙ্গা যামু।
শিরিন:- যাও ভাইগ্যা। আমি নজর দিব না।
রুনা:- বেলাল ভাইকে ক না, এই বয়ফ্রেন্ডকে চাই, আইনা দিতে।
রুনা:- নাজমা, তর উপর ঠাডা পরবো।
নাজমা:- যাক, বাচা গেল। একজনের নজর ত কমলো। এবার রুনাকে ভাগাতে হইব।
রুনা:- না ভাগমু না।
(শিরিনের চাচাতো ভাই প্রবেশ করে)
ইব্রাহিম:- তোমাগো বয়ফ্রেন্ড আরেকটাকে লাইক মারে। তোমাগো বেল নাই।
রুনা:- কইছে তোরে, হারামি।
ইব্রাহিম:- আমি দেখছি।
রুনা:- তাতে তর কি? বানর।
(রুনা "বানর" বলে বের হয়ে নিজ বাড়ীতে চলে গেল।শিরিন ইব্রাহিম কে চেয়ারে বসতে দিল। এরই মধ্যে ফাহাদ নাজমাকে ডাক দিল। নাজমা খুশি মনে দৌড়ে গেল।)