ফেসবুক টাইমলাইনের কবিতা। পর্ব ০১ । নূর ইসলাম। Bangla poetry.
আমার ফেসবুক আইডিতে টাইমলাইনে লেখা কবিতা পর্ব আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে। কবিতা পড়তে ইচ্ছুক বন্ধুরা বাংলা৫২ এর সাথে থাকুন।
কবিতা
হবু প্রেমিকা আমার।
নূর ইসলাম।
বুক পকেটে সিগারেট নিয়ে ঘুরছি অনেকক্ষণ হল। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, ধরাই। কিন্তু না, থাক। অক্সিজেনে বাঁচিয়া দেহ নিকোটিনে পুরবে মন।
ভাবুক মন,
বলিষ্ঠ কন্ঠে আওয়াজ তুলে বলে, আমি প্রেম করবো না, ভাসবো না মিছে আবেগ মিশ্রিত মায়ায়। সবে মাত্র যৌবনে পা দিয়েছি। কল্পনার জগতে আরো ভিন্ন কিছু ত থাকতে পারে। বা থাকতে পারে ভিন্ন ভিন্ন মেয়ের চেহারা মোবারক।
তবে কি?
তুমি-ই একমাত্র? প্রতি মাসে তিন চার বা ছয় রাত আসো গোপনে? অনুরোধ করছি, আর এসো না। শুধু তুমি না, আরো অন্যকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে হয়। ইচ্ছে হয়, হাজার চান্দে জন্ম সুত্র দিয়ে প্রতিদিন এক একটা কবিতা লেখি।
বিরক্ত লাগে।
যখন কাগজের পাতায় তোমার স্থিরচিত্র প্রদর্শন হয়।
ফেলে দেই কাগজ,
বৃষ্টি হলে জানালায় হাত বাড়িয়ে পানি মিশ্রন কিংবা জমাট ধরে থাকা রাস্তার পানি মিশ্রন, অনেক চেষ্টা করেছি। পারিনি। বুক পকেটে আগলে রেখেছি। ভয় হয়, তোমাকে হারাবো ঠিক, যদি অন্য কেউ আমার না হয়?
ধরালাম সিগারেট,
বেলকুনিতে বসে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে দু একটা টান।
কোমর বরাবর নাভিতে আংগুল দিয়ে ভাবছিলাম। কবে তুমি আমার হবে? যানো ত? আমি একটু ভিতু প্রকৃতির। বলার সাহস নেই। হটাৎ কিঞ্চিৎ খোঁচা লাগায়, গাও শিউরে উঠলো।
ভাবতেই পারিনি,
কখন যে সিগারেটের শেষ টানটি দিয়েছিলাম। হটাৎ নাভির বাম দিকে জ্বালাময়ী ব্যাথা। তাকিয়ে দেখি, সিগারেটের অবশিষ্ট নেই। অগুনের ছাই লাল টকটকে আমার দেহ লাল করে দিয়েছে।
স্বপ্নে তুমি, বাস্তবে আগুন। দুটোই এখন আমার দবদবে ফাগুন।
ভাবনা প্রিয় কল্পনা আমার।
নূর ইসলাম।
ক্লান্ত শরীর, চেয়ারে বসে দেখছি বৃষ্টি।
মেঘের গর্জনে কাপছে ইট সিমেন্ট লোহায় গড়া সভ্যতা। ঘুমিয়ে রয়েছে সহ বাসিন্দা।
শুধু আমি বাসিন্দাশূন্য বেলকুনিতে বসে। মেঘদূত ঘর্ষণে বিজলীবাতি বন্ধ করে মোর চক্ষু দৃষ্টি। চোখের পর্দা ঘুম ন্যায় তবু, প্রখর রৌদ্রময় দেখছে আমার অন্তর দৃষ্টি।
টানা টানা চোখ দুটি তোমার, মধুময় তোমার মুখাবরণ। দাঁতময় মিষ্টি হাঁসি যেন, চাঁদাবরণ। ভয়াবহ দৃশ্য প্রদর্শন আমার মুখাবরণ। আমাকে দেখে বৃষ্টির মনে সৃষ্টি হয় কম্পন।
শুধু কম্পিত হয়না তোমার হৃদয়ে। তাই বৃষ্টি বলছে, ভুলে যাও, তোমার কষ্ট আমি সইতে পারছিনা। তাইতো ঝড়ে পড়ছি আকাশের বুক থেকে মাটির বুকে।
আজ বৃষ্টি বুঝলো, চিৎকার করে কাঁদছে, শুধু কাঁদছেনা আমার প্রিয়তমা। কেঁদ না। তুমি সুখি থেক। কেননা, তোমার সুখে আমি সুখি।
লাভ ইউ ডিয়ার হবু প্রেমিকা। সকলের যেখান থেকে সমাপ্তি, সেখান থেকে আমার সূচনা।
নারীপ্রিতী
চুটিয়ে প্রেম করবো। ক্লান্ত নিশি ঘুমিয়ে সকালে ঠোঁট চুম্বনে ফুরফুরে সতেজতায় দিনশেষে অন্য কারো বুকে বিনোদনে ভরপুর।
শুরুটা এখনো বলা হয়নি।
বাঙ্গালী, হিন্দি, স্প্যানিস, বা ভিন্ন ভাষা অথবা চেহারার বা গঠনের ভিন্নতা বুঝি না। আমি এতটুকু উপলব্ধি করেছি যে, নারী হোক বা পুরুষ, একফোঁটা পদার্থের জন্য যত জোড়াজুরি।
যাহোক সূর্য্যি ব্যাটা যখন নিস্তেজতা দূর করতে গভীর ঘুমে নেতিয়ে পড়ে, তখন একখন্ড ডাংগুলি জ্ঞান বিলিয়ে দেয়।
বলে, আমায় পুজো করো।
মনোবাসোনা পুণ্যির লক্ষ্যে পুরুষগণ আপোষ সূত্রের প্রয়োগ করে।
স্মৃতি
আগে যখন ছোট ছিলাম, খুব জোরে প্রস্রাব এসেছিল। মা বলতো, দরজায় গিয়ে প্রস্রাব করতে। বৃষ্টির হেচা লাগাতে আমি জানালার গ্রীল ধরে প্রস্রাব করে দিতাম।
মা বলতো, হাইরে পানি চোরারে,।
আজ ইচ্ছে হয়েছিল জানালা দিয়ে প্রস্রাব করতে। কিন্তু, পারিনি।
তাই বেলকুনিতে বসে ভাবছি। কত না বড় হয়ে গেছি। হাজার চাপেও জানালা দিয়ে প্রস্রাব করতে পারিনা।
অপরাধ করেও আমি মায়ের কাছে অপরাধী হইনি।
খুব মনে পড়ছে মা তোমায়।
মা দিবসে সকল মায়ের প্রতি রইলো, ক্ষুদ্রতম অতি ক্ষুদ্র এই নগন্য সন্তানের ভালবাসা।
ভালবাসি মা তোমায়।